শ্রদ্ধেয় শেখ কামাল ভাই আমাদের নেতা ও রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু : (পর্ব ৬)
শেখ কামাল ভাই কতটা প্রতিবাদী নির্ভীক ও নিঃসংকচিত্ত ছিলেন তার একটি উদাহরণ দিচ্ছি পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে।
আপাত দৃষ্টিতে ছোট্ট অথচ বিশাল এই সিদ্ধান্ত টি তিনি নিয়েছিলেন খোদ
বঙ্গবন্ধু অর্থাৎ উনার পিতার বিরুদ্ধে ই। দেশের স্বার্থে মানুষের কল্যাণে
কাজ করাই ছিল উনার মূল লক্ষ্য। আর সেই কারণেই সেনাবাহিনীর লোভনীয় চাকুরী
ছেড়ে তিনি ফিরে এসেছিলেন সাধারণের মাঝে।
১৯৭৩ সালের মে মাসের শেষ দিকে হটাৎ স্কুলে নোটিশ আসলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরেই অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের জন্য অবৈতনিক
শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ
খারাপের দিকে যাওয়ায় আপাততঃ তা স্থগিত ঘোষণা করলেন। সাথে জানুয়ারি থেকে মে
পর্যন্ত ৫ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের নির্দেশ দিলেন শিক্ষা বোর্ড।
এই নোটিশ টি পাওয়ার পরে টিফিন টাইমে আমি পারভীন সহ বিষয়টি নিয়ে আলাপ
করলাম। ৫ মাসের বেতন একসাথে দেয়া অনেক ছাত্রীদের পক্ষেই সম্ভব হবেনা। কিছু
একটা করতেই হবে।
তাৎক্ষণিক করিতকর্মা আমরা দুজন আমাদের সেই ঐতিহাসিক
চোরাই পথে ইটের উপর ইট দিয়ে দেয়াল টপকে দেয়ালের ঠিক উল্টা পাশেই লালমাটিয়া
ছাত্রলীগ অফিসে গেলাম। সেখানে সিরাজ ভাই ও রিয়াজ ভাইদের কে জানতেই উনারা
বললেন কেন্দ্রে নেতাদের বিশেষ করে শেখ কামাল ভাইকে জানাতে।
স্কুল
ছুটির পরেই আমরা সোজা চলে গেলাম ৩০ নং মিরপুর রোডের ছাত্রলীগ অফিসে। গিয়েই
পেলাম শেখ শহীদ ভাই কে। তিনি ও একমত হলেন এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে
নির্দেশ জানাবেন বললেন।
শেখ কামাল ভাই ও সৈয়দ নুরু ভাই কেও আমরা
জানালাম বিষয়টি। কামাল ভাই তাৎক্ষণিক ভাবেই বললেন ঢাকার বিভিন্ন স্কুলে
গিয়ে মেয়েদের কে বিষয়টি বুঝিয়ে ঐক্যবদ্ধ করতে।
আর এই কাজে আমাদের
সার্বক্ষণিক সাহায্য করবে আইডিয়াল কলেজের মহিবুল ইয়াজদানী খান ডাবলু ,
আবদুস সামাদ পিন্টু এবং ঢাকা কলেজের রউফ সিকদার, ইউনুস মিয়া ও মোহাম্মদপুর
থানা ও লালমাটিয়া শাখা ছাত্রলীগ।
চলবে.......